বাংলাদেশ

ঢাকায় পথ–দুর্ঘটনায় নিহত পর্বতারোহী

একটা স্বপ্ন অকালে ঝড়ে গেল। স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হল না। কারণ অকালে চলে গেলেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না। ৩৩ বছরের রত্নার অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পর্বতারোহী মহল। শোকের ছায়া পড়েছে কলকাতাতেও। কারণ তিনি এখানেও পরিচিত ছিলেন। রেশমার শোক দুই পারে পড়লেও কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোড দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রত্নাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়িটিকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রেশমা পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি পর্বতারোহণ ছিল তাঁর নেশা। ২০১৯ সালে উত্তরাকাশীতে নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে উচ্চতর পর্বতারোহণ কোর্স সম্পন্ন করেন।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে রত্নার অ্যাডভেঞ্চারের সূচনা হয় বাংলাদেশের কেওক্র্যাডং পাহাড় চূড়া (৩,২৩৫ ফুট) আরোহণ করে। ২০১৮ সালে আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো আরোহণ করেন তিনি। এমনকী আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কেনিয়াও আরোহণ করেন তিনি। লাদাখে অবস্থিত স্টক কাঙরি (৬১৫৩ মিটার) এবং কাং ইয়াতসে–২ (৬২৫০ মিটার) আরোহণ করেন তিনি। তাঁর এবার স্বপ্ন ছিল এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছনো। কিন্তু সেই স্বপ্ন যে অধরা থেকে গেল।
পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‌ভারতের পর্বতারোহীদের নিয়ে ওর (রত্না) খুব উৎসাহ ছিল। অন্যান্য পর্বতারোহীদেরও খোঁজ করত। মাত্র কয়েক দিনের পরিচয়ে ভীষণ আপন হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিন থেকেই আমার সঙ্গে এমনভাবে কথা বলছিল যেন কত দিনের চেনা।’‌