নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা–প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে সেজে উঠেছে দেশের সকল প্রান্ত। দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয় এদিন। অভ্র কিশোর চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতার পুলিশের অশ্বারোহী বাহিনীকে দেখা যায় রেড রোডে। কলকাতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কর্ণেল অরিন্দম ধরের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে কুচকাওয়াজ। যুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত কিছু মুহূর্ত সেখানে তুলে ধরা হয়। উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত স্কাউডগার্ড জাসবা–কে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৯৩৯ সালে এই ২৫ পাউন্ডারের ব্যবহার শুরু হয়। ব্রিটেনে তৈরি হয় এটি।
করোনা আবহে এই প্রথম ঐতিহ্যে বদল হল রেড রোডে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে বেশ কিছু কাঁটছাট করা হচ্ছে। এই বছর সেনা জওয়ানদের কুচকাওয়াজ দেখার অনুমতি নেই দর্শকদের। রেড রোড চত্বরে আমজনতার প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভিআইপি দর্শকের সংখ্যাও এবারে রয়েছে হাতে গোনা।
এবারে বহর অনেকটাই কম। যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাটই রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন। রয়েছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা বলয় এবং ড্রোন ক্যামেরা। বাড়তি সতর্ক থাকছে রাজ্য প্রশাসন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া দর্শকদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আসনে বসতে হবে। ভিভিআইপিদের বসার জায়গায় নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, ‘ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব আমাদের দেশের আদর্শ। আমরা সবসময় সংবিধান অনুসরণ করব। আর তা রক্ষা ও সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য। দেশের প্রতিটি নাগরিককে জানাই প্রজাতন্ত্র দিবসের উষ্ণ অভ্যর্থনা। আজকের প্যারেডকে দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হচ্ছে।’
