বসিরহাট জেলার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমসেরনগর বনবিবি মাঠে প্রকাশ্য সভায় ভর্ৎসনা সরকারি আমলাদের। সরকারের তরফ থেকে এদিনের সভা থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু বিতরণের শীতবস্ত্র মঞ্চে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বনবিবি ঠাকুরের স্থানে বৃক্ষ পুজোর মধ্য দিয়ে সুন্দরবন সফরের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি মঞ্চে চলে আসেন সুন্দরবনের দুঃস্থদের জন্য আনা ১৫,০০০ শীত বস্ত্র প্রদান করার জন্য। কিন্তু পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না পেয়ে রীতিমতো রাজ্যের মুখ্য সচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদী, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ীকে প্রকাশ্য মঞ্চে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশাসনিক মহলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরপর এদিনের অনুষ্ঠানে রিলিফ সেন্টারে মজুত করা ১০০০ শীত বস্ত্র ফের আবার সাধারণ নাগরিকদের নিজের হাতে প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাটের সংসদ নুসরাত জাহান, সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, শেখ শাহাজান সহ বিশিষ্টজনেরা।
পাশাপাশি এদিন হোম লোনের কিছু চেক প্রদান করে তিনি বলেন, সুন্দরবনের পর্যটনের মান যাতে আরো বাড়ে তার জন্য একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৫ কোটি গাছের চারা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বলেন, ‘আমি যেখানে গেলাম বনবিবি স্থান সেটা এখনও কাঁচা রয়েছে। সেটা খুব দ্রুত পাকা করা হবে। এই স্থানের প্রতিষ্ঠাতার উত্তরসূরী পরান মণ্ডল তিনি দাবি করেছিলেন এই কাঁচা স্থানটি যাতে পাকা করা হয়।’
সেই দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘এই বনবিবি স্থান পাকা হয়ে গেলে উদ্বোধন করতে আরও একবার সুন্দরবনে আসবো।’ পাশাপাশি বলেন, যাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরো দ্রুত উন্নয়ন ঘটে তার ব্যবস্থা তিনি করবেন।
এরপরে মুখ্যমন্ত্রী ০৩:২০ নাগাদ টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠে নামেন পৌঁছান। সেখান থেকে টাকির রাজবাড়ীর ঘাটে গিয়ে সাধারণ মানুষ, পর্যটক ও রাজবাড়ীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। শেষে তিনি টাকির জনস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে চলে যান।