ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

Renu Khatun: কৃত্রিম হাত পাবে কেতুগ্রামের রেণু, তবু খুশির মাঝে আতঙ্কের আবহ

পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের নির্যাতিতা রেণু খাতুনকে কৃত্রিম হাত দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কৃত্রিম হাত লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। যদিও জেলা পরিষদের এহেন ঘোষণায় রেণু খুশি হলেও তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুন কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের গৃহবধু রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী শের মহম্মদ সহ তাঁর ৩ বন্ধুর বিরুদ্ধে। নার্সিংয়ে চাকরি করতে না দেওয়ার জন্যই রেণুর কব্জি কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা রাজ্যজুড়ে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে রেণুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেসময় রেণুকে কৃত্রিম হাত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই বর্তমানে রেণু খাতুন এক নার্সিং কলেজে কর্মরত।

নার্সিংয়ে চাকরি পাওয়া রেণু যাতে কাজে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য নিজের বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর ডান হাত কেটে নেয় রেণুর স্বামী। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নার্সিংয়ের চাকরিতে যোগ দেন রেণু।

সম্প্রতি রেণু খাতুনকে কৃত্রিম হাত দেওয়ার ব্যাপারে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ। সেই বৈঠকেই রেণু খাতুনকে কৃত্রিম হাত দেওয়ার সমস্ত ব্যয় পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদ বহন করবে বলে জানিয়ে দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রেণুর নিরাপত্তা। কেননা তাঁর হাত কেটে দেওয়ার ঘটনার মূল অপরাধীরা জামিন পেয়ে গেছে। এই ঘটনার জেরে এখন আতঙ্কে পড়ে গিয়েছেন রেণু।