প্রয়াত হলেন এ যুগের অন্যতম শক্তিশালী ও সেরা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। আজ, সোমবার বিকেলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দিন কয়েক আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অ্যাকাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান এই সাহিত্যিক ফুসফুস ও শ্বাসনালীতে গভীর সংক্রমণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর করোনা পরীক্ষা, চেস্ট এক্স-রে, সিটি স্ক্যান-সহ একাধিক রক্ত পরীক্ষা করে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। অবশেষে আজ বিকেল ০৫ টা ৪৫ মিনিটে ৭৯ বছর বয়সে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে কেবল সাহিত্য জগত নয়, গোটা বাংলা জুড়ে শোকের আবহ নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় ছাপা হয় সমরেশ মজুমদারের প্রথম গল্প। এরপর ১৯৭৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’ প্রাকশিত হয়। ‘অনিমেষ’ সিরিজের জন্যই সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনি। গোয়েন্দা চরিত্র ‘অর্জুন’ তাঁরই সৃষ্টি। সমরেশ মজুমদারের লেখনী শুধু গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি থেকে গোয়েন্দা কাহিনি, কিশোর উপন্যাস সবই রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। জাতীয় পুরষ্কার ছাড়াও তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরষ্কারেও সম্মানিত হয়েছেন।
তবে সমরেশ মজুমদার ‘কালবেলা’ ও ‘কালপুরুষ’ -এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য জগতে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। এছাড়াও রয়েছে তাঁর আরও বহু শিল্পকর্ম। যার মধ্যে ‘সাতকাহন’, ‘তেরো পার্বণ’,’অনুরাগ’, ‘উজান গঙ্গা’, ‘ভিক্টোরিয়ার বাগান’,’স্বপ্নের বাজার’, ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’, উপন্যাসগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
