মহামারি করোনার বিস্তার বেড়েই চলেছে। এ সময় অনেকেই জীবিকার তাগিদে নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন। এখন বাইরে বের হওয়া বিপজ্জনক। তবে জীবিকার তাগিদে তো অফিসে যেতেই হবে! তাই মহামারির মধ্যেও যারা অফিসে যাচ্ছেন; তারা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন জেনে নিন-
স্যানিটাইজার-সাবান সঙ্গে নিন: বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বা সাবান সঙ্গে নিন। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। হাত জীবাণুমুক্ত না করে কোনোভাবেই মাস্কে হাত দিবেন না। এ ছাড়াও অযথা চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। খাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা: অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। একেবারেই পাশাপাশি বসবেন না। অফিসে থাকাকালীন সময়েও মাস্ক পরিধান করুন। অফিসের টয়লেট ব্যবহারের সময় ডিসইনফেকটেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন।
টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই ৩০ সেকেন্ড ধরে সাবান-জল দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন। আপনার ডেস্ক, কম্পিউটার, কি-বোর্ড, মাউস সহ সব ব্যবহৃত জিনিসপত্র ডিসইনফেকটেন্ট স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখবেন।
২টি মাস্ক পরুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বাইরে বের হলে ২টি মাস্ক পরার। সার্জিক্যাল মাস্ক পরে তার উপরে এন-৯৫ মাস্ক পরবেন। ব্যাগেও দুটি সার্জিকাল মাস্ক রাখবেন।
গ্লাভস এবং হেয়ারক্যাপ: আপনি যদি গণপরিবহনে যাতায়াত করে থাকেন; তাহলে হাতে গ্লাভস এবং মাথায় হেয়ার ক্যাপ পরবেন। গ্লাভস খোলার সময় উল্টো করে খুলে ফেলে দিয়ে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ঘরে ফিরে: বাড়ি ফেরার পর বেডরুমে প্রবেশ না করে ড্রয়িং রুমেই পোশাক ও ব্যাগে স্যানিটাইজার স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করুন। এরপর সোজা বাথরুমে গিয়ে হাত ও পা সাবান দিয়ে ধুয়ে পোশাক খুলে ধুয়ে ফেলুন। হালকা গরম জলে সামান্য অ্য়ান্টিসেপটিক মিশিয়ে সেই জলে পোশাক ধুয়ে নিন। তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে সবার সঙ্গে বসে কথা বলতে পারেন। কিন্তু প্রথমে নিয়ম মেনে চলা খুবই প্রয়োজন।
যদি অসুস্থ হন: এরই মধ্যে আপনার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ টের পেলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। প্রথমেই টেস্ট করিয়ে নিলে পরিবারের সবাই সুরক্ষিত থাকবে।