ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সপ্তম দিন! ইউক্রেন থেকে বুধবার মধ্যরাতে বাড়ি ফিরল বারাসত হৃদয়পুরের তিয়াসা বিশ্বাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেটে পোলান্ড বর্ডারে পৌঁছায় তিয়াসা। তারপর পোলান্ড বর্ডারে হেনস্থা হতে হয় ভারতীয়দের। ভারতীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে অবশেষে ভারত সরকারের তৎপরতায় ভারতের মাটিতে পা রাখে তিয়াসা।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের শুরু থেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে তিয়াসার পরিবার। কিভাবে মেয়ে ফিরবে বাড়ি সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল তিয়াসার বাবা-মায়ের।ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় খুশি তিয়াসার পরিবার।
অন্যদিকে, হিন্দমোটর রবীন্দ্রনগরের দেবমাল্য চ্যাটার্জী ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে যান যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে । ২০২০ সালে পশ্চিম ইউক্রেনের টারনোপিল কলেজে ডাক্তারি পড়তে যান হুগলির এই পড়ুয়া। এরই মধ্যে রাশিয়া আচমকাই যুদ্ধ ঘোষণা ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্জা। যুদ্ধের ফলে ভেঙে পরে কলেজের স্বাভাবিক পঠন পাঠন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ছেলের জন্য চিন্তায় উদ্বেগে ছিল দেবমাল্যর পরিবার। এরপরই বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে রোমানিয়ার বুচারেস্ট এয়ারপোর্ট থেকে ছেলের দিল্লী ফেরার খবর পান ছাত্রের মা বাবা।
জানা গিয়েছে, গত বেশ কিছু দিন ওরা দেশে ফেরবার জন্য রোমানিয়ার এসে আটকে পরে।সেখান থেকেই ওদের খোঁজ পায় ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা। দূতাবাসের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে দিল্লিতে ফিরে আসেন তারা।