প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক বিক্ষোভ হয়েছিল লালকেল্লায়। তখন টের পাওয়া গিয়েছিল আন্দোলনের তেজ। তাই এবার আর ফাঁক রাখতে চাইছে না নয়াদিল্লির পুলিশ–প্রশাসন। তখন উড়েছিল নিশান সাহিব। স্বাধীনতা দিবসে তেমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চাইছে দিল্লির প্রশাসন। তাই লালকেল্লাকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। মূল প্রবেশপথের সামনে গড়ে তোলা হচ্ছে শিপিং কন্টেনারের দেওয়াল।
গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে কৃষক বিক্ষোভের অভিজ্ঞতার পর আগামী ১৫ অগাস্ট কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ দিল্লি পুলিশ। জম্মু–কাশ্মীরে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার ঘটনাও মাথায় রাখা হচ্ছে। তাই লালকেল্লার বাইরে শিপিং কন্টেনার দিয়ে দেওয়াল গড়ছে প্রশাসন। ফলে চাঁদনি চক থেকে লালকেল্লায় ভিতরে কী চলছে, তা দেখা যাবে না।
চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে তিন কৃষি বিলের বিরোধিতায় রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল করেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় কৃষকদের সংঘর্ষ। লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের ৩০টি গাড়ি। ৩৯৪ জন পুলিশ আধিকারিক জখম হন। লালকেল্লার সামনে নিশান সাহিব উড়িয়ে দেন কৃষকরা। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল।