এবারের স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গিদের নিশানা লালকেল্লা! তাতে কপালের ভাঁজ বেড়েছে দিল্লি পুলিশের। কারণ তারা গোয়েন্দা মারফত জেনেছে, তাদের উর্দি পরেই এবার রয়েছে হামলা চালানোর ছক। আচমকা সক্রিয় হয়ে ওঠা খলিস্তানপন্থী জঙ্গিরা। সেটাই এখন গোয়েন্দাদের উদ্বেগের বাড়তি কারণ। আর তারাই টার্গেট করেছে লালকেল্লাকে।
লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং সরকারিভাবে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে আসেন অনেকে আমন্ত্রণপত্র পেয়ে। সেই আমন্ত্রণপত্রের পাশাপাশি থাকে বিশেষ নিরাপত্তা মহড়াও। অনুষ্ঠান চলাকালীন সামনের রাস্তা নেতাজি সুভাষ মার্গে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। সংশ্লিষ্ট চাঁদনি চক এলাকাও থাকে একপ্রকার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে। পুলিশের ইস্যু করা পাস ছাড়া গাড়ি ঢোকা সম্ভব নয়। আর একটা উপায় হল বৈঠক আমন্ত্রণপত্র। সেটা না থাকলে ওই চত্বরে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। তাই নাশকতার ছক কার্যকর করতে অভিনব পন্থা নিয়েছে খলিস্তানপন্থী জঙ্গিরা—দিল্লি পুলিশের উর্দি। কারণ, লালকেল্লা চত্বরে ওইদিন তাদের সংখ্যাই সবথেকে বেশি থাকে।
দেশের একাধিক মেট্রো শহরও এবার চলে এসেছে জঙ্গি নিশানায়। সঙ্গে রয়েছে টিফিন বক্স বোমার হুঁশিয়ারি। কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবের অমৃতসরে পাওয়া গিয়েছে টিফিন বক্স। তার মধ্যে ছিল প্রায় তিন কেজি আরডিএক্স। এই টিফিন বক্স ফেলা হয়েছিল একটি ড্রোন থেকে। পাঞ্জাব পুলিশ হাই অ্যালার্ট জারি করে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এই চক্রান্তের সঙ্গে লস্কর ও জয়েশ জঙ্গি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
তবে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর এবং তার আশপাশের এলাকায় শুরু হয়েছে বাড়তি নজরদারি। কোথাও কোনও ড্রোন উড়ছে কি না, সেটাই আপাতত মাথাব্যথার কারণ। গোটা বিমানবন্দর চত্বর তো বটেই, তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও টহল দিতে শুরু করেছে সিআইএসএফ। বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই নজরদারি চলছে।
দিল্লি পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের যৌথ বৈঠকও হয়। সেখানে স্বাধীনতা দিবসের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই গোটা দিল্লি শহরকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তা বলয়ে। আপাতত চ্যালেঞ্জ একটাই, উর্দি পরে ছদ্মবেশে আসা জঙ্গিদের দিল্লি পুলিশ চিহ্নিত করবে কীভাবে!