প্রতি বছরই উৎপাদন ১২ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন করে বেড়েই চলেছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখো মানুষের। আর সবটাই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। কারণ তিনিই উদ্যোগ নিলেন বলে আজ এতটা বুক ফুলিয়ে বলতে পারা যাচ্ছে ইলেশের বাড়ি বাংলাদেশ। এভাবেই কথাগুলি বলে গেলেন বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তথা ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান।
তিনি জানালেন, প্রতি বছরই বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। আগামীদিনে বড় ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে। ঢাকার বাজারে ৬০০ গ্রাম থেকে শুরু করে আড়াই কিলো ওজনের ইলিশও মিলছে। এই ধরণের ইলিশ মেলার কারণ হচ্ছে, স্বাদু জলের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ এবং ইলিশ উৎপাদনে তো বাংলাদেশ মহারাজা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অবস্থানটা ভৌগোলিক দিক থেকে যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্ত জুড়ে বঙ্গোপসাগর। তার পর রয়েছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা–সহ বহু নদী। বরিশালে কীর্তনখোলা নদী, একটু দূরে সন্ধ্যা নদী। সকল নদীই মাছের ভাণ্ডার। আর যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মাইলফলকে পৌঁছেছে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গিয়েছে, চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন হবে। বলা যায়, এবারে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৩৩ লাখ মেট্রিক টন, এই বছরে সেখানে উৎপাদন সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ। ড. আনিসুর রহমান জানালেন, মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা এবং সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ এবং জেলেদের পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকার ইলিশ উৎপাদন বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছেন।