এবার সরাসরি চিনের বিরুদ্ধে এয়ারস্ট্রাইক করার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল আরকেএস ভাদাউরিয়া। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাফাল যুদ্ধবিমান আসার পর থেকে ভারতের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজন পড়লে দ্রুত এবং গভীর ক্ষত দিতে পিছপা হবে না ভারত।
এদিকে চিন–ভারত সপ্তম রাউন্ড বৈঠক বসতে চলেছে আগামী ১২ অক্টোবর। তার আগে এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এয়ার মার্শাল বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা ৮৩ এলসিএ তেজস মার্ক ১এ আনতে চলেছি। বরাত দেওয়া হবে এইচটিটি–৪০ ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট এবং লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের।’ সুতরাং এগুলি যে চিনকে টক্কর দিতে আনা হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা থাকে না।
বায়ুসেনার প্রধান এও জানান, ভারত–চিন সীমান্ত স্ট্যান্ডঅফে এয়ারস্ট্রাইক করার প্রয়োজন পড়েনি। তবে এই পরিস্থিতির জন্যেও সম্পূর্ণ তৈরি রয়েছে দেশ। ভারতীয় বায়ুসেনা যে কোনওরকমের যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, পাকিস্তান এবং চিন হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তবে বহু ক্ষেত্রেই পাকিস্তান চিনের উপর নির্ভরশীল। ভারতের উপর দখলদারিতে কোনও পরিস্থিতিতেই সফল হবে না চিন। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ অক্টোবর বায়ুসেনা দিবসে প্রদর্শিত হবে নতুন যোগ হওয়া রাফাল যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ বিমানের তালিকায় যুক্ত হয় পাঁচটি রাফাল বিমান।
এই রাফাল নিয়ে সংসদে পেশ করা রিপোর্টে সিএজি বলেছে, ডাস্যু ও এমবিডিএ প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল যে, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও–কে উন্নতমানের সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করবে। ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য কাবেরী নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে এই প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ডাস্যু এই প্রযুক্তিগত সাহায্য দেয়নি।
