পাঞ্জাব সীমান্তবর্তী গ্রামে আবারও ড্রোন। আবারও উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র। স্বাধীনতা দিবসে প্রাক্কালে বড়সড় জঙ্গি নাশকতার ছক ভেস্তে দিল পাঞ্জাব পুলিশ। ঘটনাটি সামনে আসতেই গোটা পাঞ্জাবেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা দিল্লিতেও। সেখানো নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিস।
পাঞ্জাবের গ্রামীণ অমৃতসরের লোপোকে গ্রামটি একেবারে পাক-সীমান্ত লাগোয়া। রবিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের মাথার উপর চক্কর কাটতে দেখা যায় বেশ কয়েকটি ড্রোনকে। সীমান্ত পেরিয়ে সেগুলি ঢুকে পড়ে ভারত ভূখণ্ডে। তার পরেই গ্রামবাসীদের নজরে আসে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ। খবর যায় পুলিশে। তড়িঘড়ি চলে আসে বিশাল বাহিনী। উদ্ধার করা হয় ব্যাগটি। তা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিস কর্তাদের। ভিতরে টিফিন বক্সভর্তি আরডিএক্স। পরিমাণ ২ কেজিরও বেশি। সঙ্গে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র—পাঁচটি গ্রেনেড, বেশ কয়েকটি ৯ এমএম পিস্তল, ১০০ রাউন্ডের বেশি কার্তুজ। তবে, পুলিশের সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বেড়েছে টিফিন বক্সের সঙ্গে আইইডি যুক্ত থাকা দেখে।
রাতেই তাদের একটি বিশেষ দল গ্রামে পৌঁছয়। বিস্ফোরক ভর্তি টিফিন বক্সটি খতিয়ে দেখেন এনআইএ’র তদন্তকারীরা। ডিজি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর এনআইএ তাঁদের বলেছে, টিফিন বক্সটির ভিতরে দু’টি ভাগ। তাতে ঠাসা বিস্ফোরক। সঙ্গে সার্কিট বোর্ড। তাতে ইউ আকৃতির চুম্বক সাঁটানো। সময় বেঁধে আরডিএক্সের বিস্ফোরণ ঘটাতেই এই পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকে জঙ্গিরা। এক্ষেত্রেও সেটাই করতে চেয়েছিল তারা। এমনটাই আশঙ্কা এনআইএ’র।
লোপোকে গ্রামে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই পাঞ্জাবজুড়েই নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিস। সীমান্তবর্তী প্রতিটি গ্রামেই টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। থানাগুলিকেও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজি। নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিসও। এমনিতেই স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনকে ঘিরে নিরপত্তা কড়াকড়ি করা হয়েছে রাজধানীতে। পাঞ্জাবের ঘটনা সামনেই আসতেই. নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছে দিল্লি পুলিস। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সীমান্তের প্রবেশ পথগুলিতে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল, গেস্ট হাউস, সাইবার কাফেতে নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিস।