নেপাল মানচিত্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর ভারত থেকে জিনিসপত্র রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগুন হয়েছে। এই ইস্যুতে টলমল করছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার অলির গদি। বিকল্প পথ হিসাবে এখন পাচারই ভরসা। শিলিগুড়ি মহকুমার ঘোষপুকুরে বেআইনিভাবে মজুত রেশনের সামগ্রী নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে একজন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামভিটা এলাকায় অভিযান চালায় ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে রেশনের সামগ্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই রেশন মজুত করা হয়েছিল নেপালে পাচার করার জন্য। ধৃত যুবকের নাম হরদেব রায়। বয়স ২৬ বছর। ধৃত যুবক ধামভিটা এলাকারই বাসিন্দা। ধৃতের বাড়ি থেকে মোট ১৫০০ কেজি রেশনের সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে চাল ৬০০ কেজি, গম ৬৮০ কেজি, আটা ৯৪ প্যাকেট এবং মুগ ডাল ১৯০ কেজি উদ্ধার হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৫০০ লিটার ভেজাল ডিজেল। ওই যুবক বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বাড়িতে রেশন সামগ্রী মজুত করে রাখছিল। আগে নেপালে পাচার করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
জানা গিয়েছে, এইসব সামগ্রী ভারত–নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি দিয়ে নেপালে পাচার করার ছক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল রেশন সামগ্রীর এই কালোবাজারি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই কালোবাজারির চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, কে কে জড়িত আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন পাঠানো হচ্ছিল তা জানতেই তদন্ত করছে পুলিশ। এই পাচার–চক্রের মাথার নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ।
