দেশ

ত্রিপুরা বিধানসভায় নয়া স্পিকার

ত্রিপুরা বিধানসভার নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রতন চক্রবর্তী। ত্রিপুরা বিধানসভার ১৪তম অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হলেন তিনি। আগে ত্রিপুরার বিধায়ক ছিলেন রেবতী মোহন দাস। চলতি মাসের শুরুর দিকেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।

ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিশ্ব বন্ধু সেনও সে রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিশ্ব বন্ধু সেনকে পিছনে ফেলে উঠে আসে রতন চক্রবর্তীর নাম।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিধানসভার নতুন অধ্যক্ষকে স্বাগত জানান এবং প্রথা মেনে তাঁরা রতন চক্রবর্তীকে অধ্যক্ষের আসন পর্যন্ত নিয়ে যান।

বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কোনওরকম অংশগ্রহণ করেননি বাম বিধায়করা। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় মূল বিরোধী দল সিপিআইএমের বিধায়ক রয়েছেন ১৬ জন। তাঁদের কেউই অধ্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ছিলেন না। বিজেপির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্যের পবিত্র বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হওয়ায় বরিষ্ঠ বিধায়ক শ্রী রতন চক্রবর্তী মহোদয়কে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার অভিজ্ঞ কর্মদক্ষতায় বিধানসভার কাজ আরও সুচারুরূপে পরিচালিত হবে এই কামনা করি।”

রতন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রায় তিন দশক পর সাংবিধানিক কোনও পদের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। ১৯৮৮-১৯৯৩ সালে যখন কংগ্রেসের সরকার ছিল, সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন রতন চক্রবর্তী। পরে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে খায়েরপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন।