আগে দাবি তোলা হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয়ের তকমা দেওয়ার। এবার ঘূর্ণিঝড় আমফান কলকাতা ও রাজ্যের দুই জেলায় যে পরিমাণে তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে রাজ্যের দাবি, আমফানকে ‘অতি বিরল ঝড়’–এর তকমা দেওয়া হোক। এদিকে এই বিপর্যয়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। তারা এই বিপর্যয় দেখে একটি রিপোর্ট পেশ করবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমফানকে ‘লেভেল থ্রি’ শ্রেণির অর্থাৎ ‘অত্যন্ত বিরল’ বা ‘অভূতপূর্ব’ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘোষণা করা হোক। ২০০৫ সালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অন্তর্গত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা নীতি ও তার পরিকল্পনার কাঠামো অনুযায়ী কোনও রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বিপর্যস্ত হলে তাকে এই পর্যায়ে ফেলা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী ‘লেভেল থ্রি’র বিপর্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্য ত্রাণ তহবিল গড়তে কেন্দ্র বাধ্য। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে কত টাকার তহবিল প্রয়োজন, সেটা কেন্দ্রকে বুঝিয়ে স্মারকলিপি পেশ করা ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের দায়িত্ব। আর তহবিলের বড় অংশ দেওয়াটা কেন্দ্রের দায়িত্ব। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাই কী কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে? উল্লেখ্য,
অন্ধ্রপ্রদেশে হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘হুডহুড’কে বিরল দুর্যোগ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। এমন ক্ষেত্রে একটি ত্রাণ তহবিল তৈরি করা হয়। সাধারণত যার ৭ শতাংশ অর্থই দেয় কেন্দ্র। রাজ্য বাকিটা।