বৃহস্পতিবার ভরা এজলাসে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের বিচারক। একই সঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার তাঁর রায় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে যে, ধর্ষকের সাজা হবে ফাঁসি। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রায় যাবজ্জীবন। তাই দেওয়া হযেছে।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকার পক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশে সরকারপক্ষ সন্তুষ্ট। মাত্র ১৩টি কর্মদিবসের মধ্যে মামলাটির বিচারের কার্যক্রম শেষ হল। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এটি একটি রেকর্ড।
তবে মজনুর আইনজীবী (সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এই রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’ চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসে করে ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামলে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের চোটে জ্ঞান হারান তিনি।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান তিনি। রাত ১২টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন সহপাঠীরা। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। পরদিন সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)। ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।