করোনা আবহেও বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের ভয়ংকর পরিসংখ্যান উঠে এল। পদ্মাপার সম্পর্কে এই পরিসংখ্যান ভাবা যায় না! শুধুমাত্র জুলাই মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১০৭ মহিলা ও শিশু। আর ধর্ষণ–সহ মোট নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান আরও ভয়ংকর! শুধুমাত্র জুলাই মাসে ওপার বাংলায় ২৩৫ জন মহিলা ও কন্যাশিশুর উপর নির্যাতন হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা মালেকা বানু এই তথ্য বাংলাদেশের ১৩টি প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। আর তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যাটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে, জুলাই মাসে হওয়া দেশের ১০৭টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১৪টি। আর জুলাই মাসেই ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তিনজন নারীকে। চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, একমাসে সে দেশে ১০৭টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে শিশুদের সঙ্গে ঘটেছে ৭২টি ঘটনা।
পরিসংখ্যান বলছে, নানা কারণে হত্যা করা হয়েছে ৪৬ জন মহিলা ও কন্যা শিশুকে। পণের জন্যে অত্যাচারের শিকার হন ১৫ জন মহিলা। পণের জন্যে হত্যা করা হয়েছে ৭ জনকে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে ১০ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ১৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত জুন মাসে ৩০৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১০১ জন নারী ও শিশু। জুন মাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ২৫ জন নারী। ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাত জনকে।