এবার মুম্বইয়ে যেন নির্ভয়ার ছায়া। মহিলাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল লোহার রড। নৃশংস এবং মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাণিজ্যনগরীতে। আর এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল দিল্লির নির্ভয়া–কাণ্ডকে। নির্যাতিতার অবস্থা এখন সংকটজনক। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তবে এটি ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার খৈরানি রোডে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করেছেন মুম্বইয়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। পুলিশ সূত্রে খবর, সাকিনাকায় এক মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে বলে খবর মেলে। তখন রাত সাড়ে ৩টে। একটি ফোন আসে কন্ট্রোলরুমে। মহিলাকে দ্রুত উদ্ধার করে পাঠানো হয় ঘাটকোপারের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে।
এই বিষয়ে সাকিনাকা থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলবন্ত দেশমুখ জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মধু চহ্বন। বয়স ৪৫ বছর। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁকে জেরা করে বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে প্যারা মেডিক্যাল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে ফেলে দেয় ৬ দুষ্কৃতী। এক অভিযুক্ত জেলেই আত্মহত্যা করে। নাবালক বলে ৩ বছর সংশোধনাগারে থেকে ছাড়া পায় আর এক অভিযুক্ত। বাকি ৪ অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়া হয়।