কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর রাত পোহালেই বহু প্রতিক্ষিত রামমন্দিরের ভূমিপুজো। যেখানে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। বুধবার ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে এঁরাই হলেন বিশেষ অতিথি। আর তারই মধ্যে এল আরও এক দুঃসংবাদ। মন্দিরের আরও এক সেবায়েতের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এল। এই পরিস্থিতিতে এত বড় ঝুঁকি কী করে নেওয়া হচ্ছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও রামমন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সচিব চম্পট রাই বলেন, ‘আমরা এমন কাউকে এই ভূমিপুজো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাইনি যাঁর বয়স ৯০ বছরের বেশি। করোনা সংকটের মধ্যে কীভাবে পরাসরণজি চেন্নাই থেকে আসবেন? আদবাণীজিও বা কিভাবে দিল্লি থেকে আসবেন?’ উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করে। তৎকালীন বিজেপি সভাপতি লালকৃষ্ণ আদবাণী গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে রথযাত্রা শুরু করেন। ওই রথযাত্রা অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য অনুগামীদের আবেগকে অনেকটাই বাড়িয়েছিল। তবে এদিন যখন দেশজুড়ে টিভিতে সেই ভূমিপুজো প্রত্যক্ষ করবে ভারতবাসী, তখন নীড়েই থাকবেন একদা লৌহপুরুষ। এটা তাঁর কাছে দুঃখের হলেও বাস্তব।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১৭৫ জন অতিথির কাছে ৫ আগস্টের আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে ১৩৫ জনই বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রধান। লিস্ট অনুযায়ী, মুষ্টিমেয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মীয় প্রধানরাই নন, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে লখনউয়ের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিখ ধর্মগুরু এবং অন্যান্য ধর্মের প্রধানদেরও। লালকৃষ্ণ আদবাণী ও মুরলি মনোহর যোশীর নেতৃত্বেই গতি পেয়েছিল রামমন্দির তৈরির আন্দোলন। ১৯৯১ সালে বিজেপি সভাপতি পদের দায়িত্বে আসেন মুরলি মনোহর। তখন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এই আন্দোলনে। বিজেপি নেতাদের আয়োজনে এই রথযাত্রা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সংঘ পরিবারের সমর্থনও পেয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখা হবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। তবে প্রত্যেক আমন্ত্রিতের জন্যে থাকবে বিশেষ কোড। যদি কোনও আমন্ত্রিত অনুষ্ঠান চলাকালীন উঠে যান, তাহলে তাঁকে আর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। দুপুর ২টোর মধ্যে সমগ্র অনুষ্ঠান শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে মন্দির ট্রাস্টের। আর বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও ছিলেন অন্যতম প্রধান মুখ। তাঁর ভাষণে রাম মন্দির তৈরির আন্দোলনে বাড়তি গতি এসেছিল। আজ তাঁরা সকলেই বাড়িতে বসে সরাসরি সম্প্রচার দেখবেন। নরেন্দ্র মোদীও তাই চান বলেই খবর।
