দেশ লিড নিউজ

ভূমিপুজোয় এখন করোনা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

করোনার প্রকোপে ত্রস্ত দেশ। আর তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অলিন্দে বড় জমাসমাগম করে ভূমিপুজো আয়োজিত হতে চলেছে অযোধ্যায়। তাই এখানে হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রীরা করোনার কবলে পড়লে কিভাবে তা ঠেকানো যাবে তা নিয়ে প্রশাসনের কপালের চিন্তার ভাঁজও পড়েছে। বিশেষ করে এখানে উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মন্দিরের ভূমিপুজো শুরু হওয়ার কথা। তাতে যোগ দিতে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে অযোধ্যার সাকেত কলেজের মাঠে নামবেন তিনি। তবে রামের আরাধনা শুরু করার আগে প্রথমে হনুমানগঢ়ীতে হনুমানের বিশেষ পুজো সারবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় ভূমিপুজোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রায় সবাই অযোধ্যায় হাজির। অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত না হলেও, শুধুমাত্র ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে আশপাশের রাজ্য থেকেও বহু মানুষ রামনগরীতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। আর তাতেই বাড়ছে চিন্তা। কারণ এখানে কে, কি নিয়ে আসছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। সেখানে সবাইকে আটকানোও কঠিন কাজ।
যদিও করোনার প্রকোপ ঠেকাতে গোটা দেশে বড় জনসমাগমের ওপরে নিষেধাজ্ঞা খাতায় কলমে এখনও জারি রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখ এড়িয়েই সেই সমাগম হচ্ছে। অযোধ্যার সমাগম হচ্ছে প্রশাসনেরই উদ্যোগে। ফলে অন্যরা কেন কথা শুনবেন?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। করোনা নিয়ে সতর্কতার মধ্যেও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে ১৭৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার মধ্যে ১৩৫ জনই সাধু–সন্ত। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন বাবা রামদেবও। মঙ্গলবারই অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। সেখান থেকে যে করোনা ছড়াবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?‌
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অযোধ্যায় এসে পৌঁছেছেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত, সুরেশ ভাইয়াজি জোশী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা দীনেশ চাঁদ–সহ আরও অনেকেই। তবে এঁদের মধ্যে থেকে একমাত্র মোহন ভাগবতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং রামমন্দির ন্যাসের প্রধান নৃত্যগোপাল দাসের সঙ্গে মূল মঞ্চে থাকবেন।