দেশ লিড নিউজ

এনডিএ শরিক কমছে, একা হয়ে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী আসতে আসতে একা হয়ে যাচ্ছেন। কারণ শরিকরা এনডিএ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য এবং গণবন্টনমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর এই চর্চা আরও বেশি করে হচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। যেহেতু কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারে মাত্র একটি এনডিএ শরিকই অবশিষ্ট রইল!‌
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি’‌র জোট শরিক আরপিআই নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস অঠাওয়ালে বাদে আর কোনও শরিক দলের সদস্য নেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। এটা আগামী দিনের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) নেতা এবং মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যু হয় গত বৃহস্পতিবার। তার আগেই বিহার বিধানসভা ভোটে আসন দ্বন্দ্বের জেরে রাজ্যে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন রামবিলাসের পুত্র চিরাগ। তবে কেন্দ্রে এনডিএ–তে থাকলেও বিহারে এলজেপি একা লড়বে। আর রামবিলাসের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রেও তাঁদের কোনও প্রতিনিধিত্ব রইল না।
অন্যদিকে গত ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীপদ নিয়ে সংঘাতের জেরে বিজেপি’‌র সঙ্গত্যাগ করেছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত।
তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে সংঘাত সৃষ্টি হয় এনডিএ’‌র অন্দরে। তখন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন শিরোমণি অকালি দলের সাংসদ হরসিমরত কউর বাদল।
এনডিএ’‌র আর এক শরিক জেডিইউ বিহারে বিজেপি’‌র সঙ্গে জোট সরকার চালালেও কেন্দ্রে সরকার থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সময় নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ছিলেন ৫৭ জন সদস্য। এঁদের মধ্যে ২৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ন’জন প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী।
কিন্তু অরবিন্দ সাওয়ান্ত, হরসিমরত কাউরের ইস্তফা এবং রামবিলাসের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২১। সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী–সহ মোট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যা লোকসভায় মোট সদস্যের ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় প্রায় ৮০ জন মন্ত্রী রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।