বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফা শুরু হতেই উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ শুরু করে কংগ্রেস–সহ বিরোধী দল। এরপরই স্থগিত করে দেওয়া হয় অধিবেশন। ফের অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সাংসদরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুললে অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সভার শুরুতে কংগ্রেসের সাংসদরা পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিতর্কের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে।
চার রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন। তারই মাঝে সোমবার থেকে শুরু হল বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগ। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বাজেট অধিবেশন উত্তাল হয়েছিল কৃষক আন্দোলন নিয়ে। এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরও ফের বিরোধীরা সরব হন, তবে এবারে তাঁরা পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে স্লোগান দেন ও আলোচনার দাবি জানান। সোমবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯১.৩৫, ডিজেলের দাম ৮৪.৩৫। রান্নার গ্যাসের দাম ৮৪৫.৫০ টাকা।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে অধিবেশন স্থগিত রাখার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, আসন্ন নির্বাচনে প্রচারের জন্য সংসদে হাজিরা দেওয়ায় সমস্যা হতে পারে। সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই দেখা গেল বিরোধীদের কণ্ঠেও রান্নার তেল ও গ্যাসের দাম বাড়া নিয়ে প্রতিবাদের এক সুর। যার জেরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকে বলতে হল, ‘প্রথম দিনই আমি কোনও চরম পদক্ষেপ করতে চাই না।’
অধিবেশনের কাজ শুরু হতেই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘পেট্রোল–ডিজেলের দাম প্রায় ১০০ টাকা ও ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। দাম বেড়েছে এলপিজি গ্যাসেরও। আয়কর ও সেস বসিয়ে প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। এই কারণেই আজ দেশের কৃষকরা ভুগছেন।’ ভোটের কথা মাথায় রেখে সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখার আবেদন জানান তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেরেক চিঠিতে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন সামনে। তাই সংসদের এই অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।