লাদাখে চিনের আগ্রাসনের মোকাবিলায় পাল্টা জুতসই জবাব দিতে হবে। সেই মনোভাব থেকেই সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রবিবার উচ্চপর্যায়ের একটি সামরিক বৈঠকে তিনি অংশ নেন। ওই বৈঠকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ–সহ ভারতের তিন বাহিনীর প্রধানরাও অংশ নেন। সেখানে গালওয়ান ও এলএসি–তে চিনের তৎপরতা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারভানে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং এবং বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়াকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজনাথ ওই বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানকে বলেছেন, চিনের সীমান্তে কড়া নজর রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্থল সীমান্ত, আকাশসীমার পাশাপাশি নৌসেনাকেও তৈরি থাকতে হবে। চিন সেনা কোনওরকম বাড়াবাড়ি করলে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে। এমন কি আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে সীমান্তে যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা নিষেধ প্রয়োজনে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেখানেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বাড়াতে পারে, এমন কোনও পদক্ষেপ ভারত নেবে না। তবে অন্যপক্ষ যদি উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়, তা হলে ভারতও তার সমুচিত প্রতিক্রিয়া জানাবে। উল্লেখ্য, গত ৬ সপ্তাহ ধরে লাদাখে ভারত–চিন সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। সেই উত্তেজনা চরমে ওঠে সোমবার। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের, আহত ৭৬। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, চিন সেনার অন্ততপক্ষে ৪০–৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তারা এখনও স্বীকার করছে না।