আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে অযোধ্যায় আয়োজিত হল রামমন্দিরের ভূমিপুজো৷ প্রায় ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট দিয়ে মন্দিরের শিলান্যাস হল। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস সেটি দান করেছেন। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও রুপোর ইট এসেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় অযোধ্যায় পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাকেত কলেজের মাঠে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তাল কাটল রাজ্যপালের ভূমিকায়।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষ্যে বাংলার মানুষকে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর অনুরোধ করেছে বিজেপি’র সংঘপরিবার। আজ রাজ্যে চলছে সম্পূর্ণ লকডাউন। তার মধ্যেই এই বঙ্গের নানা প্রান্তে পুজোর মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণীয় করতে রাখতে চাইছে গেরুয়া দল। রাজ্যের নানা জায়গায় বিজেপি’র উদ্যোগে পুজোর আয়োজন হয়েছে। তার মধ্যে প্রদীপের আলোয় সেজে উঠবে রাজভবন বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক টুইট–বার্তায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার জানিয়েছেন, ভূমিপুজো উপলক্ষ্যে রাজভবনে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দীপ জ্বালানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, তোষণের রাজনীতির জন্য রামমন্দির নিয়ে নিশ্চুপ মমতা। রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানানো উচিত। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে এটি গৌরবের মুহূর্ত। রাজ্যপালের এই মন্তব্যে তাঁকে বেশি বিজেপি’র প্রতিনিধি বলে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চলা রামমন্দির–মামলার নিষ্পত্তি হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। ঐতিহাসিক রায়দানের জন্য এদিনের ট্যুইটারে সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, রামমন্দির নির্মাণের সূচনা হিসেবে অযোধ্যায় ভূমিপুজো হবে। রাজভবনে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসব উদ্যাপন করবে। এই পথ প্রশস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়। রাজ্যপালের পদে বসে এমন মন্তব্য করা যায় কিনা তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকী এই টুইট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তাঁরা মনে করছেন।
