শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আপাতভাবে রদের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাজস্থানের স্পিকার। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজস্থান হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা ঘোষণা করেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা স্পিকারের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এমনই দাবি করেন জোশী।
ইতিমধ্যেই আস্থাভোটের তোড়জোড় করছেন অশোক গেহলট। হুইপ জারি করা হতে পারে দলে। সেক্ষেত্রে বিধায়কের পদ খোয়াতে হতে পারে বিদ্রোহীদের। হাইকোর্টের রায়ে আপাতত শচীনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় শুক্রবার পর্যন্ত। তারপর সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতেই তাঁর এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের স্পিকার।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের একাধিকবার বৈঠক হলেও সেখানে হাজির হননি শচীন আর তাঁর ১৮ জন অনুগামী। এই বৈঠকে হাজির না থাকার কারণ জানতে চেয়ে শচীন ও তাঁর অনুগামীদের শোকজ নোটিশ পাঠান জোশী। তাতে জানানো হয়, তিন দিনের মধ্যে বৈঠকে গরহাজির থাকার কারণ না দেখাতে পারলে তাঁদের বিধায়কপদ বাতিল হয়ে যাবে। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাইলট শিবিরের বিধায়করা।
রাজস্থানের স্পিকার সিপি জোশী বলেন, ‘স্পিকারের কাছে নোটিশ পাঠানোর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। স্পিকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেবল নোটিশের ভিত্তিতে বিচার করা সম্ভব নয়।’ এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ১৯ জন বিধায়ক ও হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধেই যদি বিদ্রোহের অভিযোগ আসে, সেক্ষেত্রে একটা সাংবিধানিক সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই মামলায় আংশিক স্বস্তি পান পাইলট। তিন দিনের রক্ষাকবচ পান তিনি আর তাঁর শিবিরের বিধায়করা। রাজস্থান হাইকোর্ট জানায়, শুক্রবারের আগে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করতে পারবেন না স্পিকার।
এই মুহূর্তে শচীনকে নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে টিম গেহলট। সিপি জোশী এদিন দাবি করেন,তাঁর সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে আদালত। আদালত স্পিকারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা শুরু করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারের দায়িত্ব এবং অধিকার নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা আগেই দিয়েছে। স্পিকার হিসেবে আমি একটা অভিযোগ পেয়েছিলাম। সেটা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়েছি। একজন স্পিকার যদি কোনও বিধায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশও না পাঠাতে পারেন তা হলে তাঁর কাজটা কী?’