প্রথমে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের দুই বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহার। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ফের নাটকীয় মোড় রাজস্থানে! এবার শুধুই সংখ্যা প্রমাণের জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই কংগ্রেস, ষড়যন্ত্র, অডিও ক্লিপ, রিসর্ট বিতর্ক, বিজেপি’র পাল্টা সিবিআই দাবি সব নিয়ে চরমে ক্লাইম্যাক্স। করোনা আবহে এমন টানটান স্ক্রিপ্টও বেশ নজর কাড়ছে জাতীয় রাজনীতিতে।
ইতিমধ্যেই রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। একটি আঞ্চলিক দলের দুই বিধায়ক কংগ্রেস সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তাঁরা ঘোষণা করেন, তাঁরা প্রশাসনকেই সমর্থন করবেন। তারপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট সদলবলে এখন দিল্লিতে। যতক্ষণ না আদালতের ফল হাতে আসছে, দিল্লিতে থাকবেন বলে খবর। সূত্রের খবর, তাঁর হাতে ৩০ বিধায়ক রয়েছে। তবে গেহলট স্পষ্ট জানিয়েছেন, ১০৯ বিধায়ক নিয়ে অনায়সে আস্থাভোটে জায়গা করতে পারবে তাঁর সরকার। অঙ্ক বলছে, যদি বিদ্রোহী ১৯ বিধায়কের পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে ২০০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াবে ৯১। কংগ্রেসের তখন দাঁড়াবে ৯০। কিন্তু মাত্র ৭৩ বিধায়ক নিয়ে সরকার তৈরি করা বিজেপি’র পক্ষে অসম্ভব।
অশোক গেহলট হিন্দিতে টুইট করে জানান, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির দুই বিধায়ক রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করার পরে সরকারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন। তবে বিটিপি প্রধান মহেশ ভাই ভাসভা তাঁর বিধায়কদের উদ্দেশে চিঠি লিখে জানান, বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার ক্ষেত্রে দলের বিধায়করা নিরপেক্ষ থাকবেন। এখন দেখার, অদূর ভবিষ্যতে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়? কংগ্রেস দাবি করে, সরকার ভাঙাতে বিজেপি যে ষড়যন্ত্র করছে এই অডিও টেপই প্রমাণ। বিজেপি’র পাল্টা দাবি, এই অডিও টেপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যে কন্ঠস্বর শোনা গিয়েছে, তা সাজানো। সিবিআই দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করুক কংগ্রেস। কংগ্রেস যদি বিধায়কদের ফোনে আড়ি পাততে শুরু করে, তাহলে ভীষণ সংবেদনশীল বিষয়। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীরও অভিযোগ, তাঁর দলের দুই বিধায়ককে ভুল বুঝিয়ে কংগ্রেস ব্যবহার করতে চাইছে। ফোনে আড়ি পাতা অসংবিধানিক কাজ। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।