আন্তর্জাতিক

নীরবচ্ছিন্ন বৃষ্টিতে বাণভাসি সূর্যোদয়ের দেশ

নাগাড়ে বৃষ্টিতে জাপানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এবার দেশের উত্তর–পূর্ব অংশেও টানা বৃষ্টিপাত বাড়ছে। বৃষ্টির জেরে ফুলে উঠেছে বিভিন্ন নদী। জলের তলায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাঘাট। কাদা ধসেও বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। এখনও পর্যন্ত জাপানজুড়ে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফুকুশিমা শহরেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
কাগোশিমায় ধসের জেরে একটি পিকআপ ট্রাক সমুদ্রে পড়ে যায়। শৈল শহর টাকাইয়ামাও পুরোপুরি বিপর্যস্ত। কাদাধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে চিকুগো নদী। জলবহুল এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবল স্রোতে বইছে। জলের তোড়ে মিশে গিয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। রাস্তাগুলি খরস্রোতা নদীর চেহারা নিয়েছে। চিকুগো হল কিউসুর সবচেয়ে বড় নদী। দ্বীপটির মধ্যে চিকুগো এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। কিউসু-র বন্যা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা জওয়ানকে নামিয়েছে জাপান প্রশাসন। নামানো হয়েছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও। তবে একটানা বৃষ্টি ও ধসে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। বন্যার জেরে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সড়ক যোগাযোগও ব্যাহত। উল্লেখ্য, পূর্ব চিন সাগর থেকে গরম হাওয়া ও জলীয় বাষ্প ঢোকায়, প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই এমন ভয়াবহ বৃষ্টির মুখোমুখি হয় জাপান। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বৃষ্টি বিপর্যয়ে জাপানে ২০০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।