লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। গত কয়েকদিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে একের পর এক নদী ফুঁসছে। ধস ও লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। পাহাড়ের একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে বলে খবর। ধস নেমেছে দার্জিলিঙের সিংমারি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। ভারী বর্ষনের জেরে বন্ধ ১০ নং জাতীয় সড়ক। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে।একইসঙ্গে তিস্তা থেকে দার্জিলিং যাওায়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তিস্তাবাজার, সেবক, বাসুসুবা, গজলডোবা-সহ একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।এছাড়াও যান চলাচল নিষিদ্ধ কালিম্পং ও পাবনা সড়কেও। গোরুবাথান থেকে মংপং সড়কের পরিস্থিতিও যথেষ্ট খারাপ। যে কোনও সময় রাস্তাটি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা। জোড়বাংলো-তিস্তা রোডে ৩ মাইল থেকে ৬ মাইলের মধ্যেও ভূমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কথা বলা হলেও, ঠিক মতো রাস্তা মেরামতি না হওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।শুক্রবার সকালে নতুন করে ধস নামে দার্জিলিঙের মিরিক, ঘুম, সুখিয়া পোখরি রোডে। একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ধস নেমেছে লোয়ার সিটংয়ের ডায়েরি গাঁওয়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবারও পাহাড়ে বৃষ্টির পুর্বাভাস রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, কালিম্পং পাহাড়ি অঞ্চলে অত্যধিক বৃষ্টির ফলে ডুয়ার্সের সমতল অঞ্চলে নদীর গতি তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মালে। জানা গিয়েছে,মালবাজার ব্লকের লিস নদী ভাঙ্গনে চান্দা কোম্পানি গ্রাম সহ ওয়াসাবাড়ি চা বাগানের বহু অংশ জলে প্লাবিত। যার জেরে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি জলের তলায়।
দুদিন আগেই একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে লিখুভিরের কাছে ধস নামে। পাহাড় বেয়ে বিশাল পাথর জাতীয় সড়কের উপর পড়ছে। এর জেরে সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। জাতীয় সড়কের দুই ধারেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে, তিস্তার জল বাড়তে শুরু করায় তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংগামী রাস্তা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।