ভ্যাপসা গরমে নাকাল রাজ্যবাসী। বৃষ্টি কবে আসবে? এই প্রশ্নে এখন হাপিত্যেশ করে বসে আছে আট থেকে আশি। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর বলছে— উত্তরবঙ্গে ভারী, দক্ষিণবঙ্গে সামান্য। বুধবার উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহতেই রাজ্যে বর্ষা আসতে চলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বর্ষা ঢুকতে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের হাত ধরে বর্ষার আগমন হবে।
আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। নির্ঘণ্ট অনুসারে চলতি মাসের ১১ তারিখে বর্ষা আসার কথা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ভ্যাপসা গরমে জেরবার হচ্ছেন আম–বাঙালি। আর এই জলীয় বাষ্পের জন্যই প্রায়ই কোনও না কোনও এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে ঝড়বৃষ্টি মিলছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গ হাঁফ ছাড়লেও রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গের। বাতাসে জলীয়বাস্প বেশি থাকায় চরম আর্দ্রতায় হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক্ষেত্রেও স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৫৪ শতাংশ। এই কারণে অস্বস্তি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আংশিক মেঘলা থাকবে কলকাতায়। কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বস্তির খবর হল, শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। মৌসুমী বায়ুর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঢুকে পড়েছে। মায়ানমারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এরপর উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে দিয়ে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করবে মৌসুমী বায়ু।
