বৃষ্টির জেরে দিল্লির পাশাপাশি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। জলমগ্ন একাধিক উত্তরের একাধিক জেলা। এহেন পরিস্থিতির জেরে এবার উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পাঠাচ্ছে নবান্ন। সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে সোমবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে দুর্যোগ মোকাবিলা দল।
রবিবার বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার উত্তরবঙ্গে সেচমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম যাবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির ফলে নদীর স্তর বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাটে জলে ভরে গেছে, সাধারণ মানুষের সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ টিমের সহয়তায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণ করছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। মুখ্যসচিবকে সবসময় পরিস্থিতি তদারক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম চেষ্টা করছে প্রশাসন।’ উত্তরবঙ্গে এখনই দুর্যোগের আশঙ্কা কমছে না। হাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আরও বৃষ্টি হয় তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে চাইছে নবান্ন।
রবিবার সকালেই বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঠিক তারপরেই বন্যাদুর্গত প্রতিটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একটি টুইট করে কেজরিওয়াল লেখেন, ‘যমুনার তীরে অজস্র দরিদ্র মানুষের বাস ছিল, যাঁরা বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিছু কিছু পরিবারের তো সর্বস্ব ভেসে গেছে বন্যার জলে। প্রতিটি বন্যা দুর্গত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া যাঁরা, ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ক্যাম্প খোলা হবে। যে সমস্ত শিশুদের বই-খাতা এবং স্কুলের পোশাক জলে ভেসে গেছে, স্কুলের হয়ে সরকার তা সরবরাহ করা হবে।’