আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। এই দুইয়ের কোলাজে এখন শুনশান শহর থেকে জেলায়। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পুলিশের নজরদারি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। দোকান–পাট, বাজার বন্ধ। রাস্তায় লোক দেখলেই তেড়ে যাচ্ছে পুলিশ। কেন বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন—প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
একইসঙ্গে চলছে মাইকে জোর প্রচার। রাস্তায় গাড়ি আটকে চেকিং করছে পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে গার্ডরেল। শুধু গাড়ি চেকিং নয় থার্মাল চেকিং ও করা হচ্ছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে। পুলিশই টহল দেখা যাচ্ছে সকাল থেকেই। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে কনটেইনমেন্ট জোন ভিত্তিক লকডাউন যখন শুরু হল রাজ্যে, তখন প্রকাশিত তালিকায় দেখা গিয়েছিল যে কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে ২৫টা আর গোটা রাজ্যে ১০০০–এর কম। পরের দেড় মাসে পরিস্থিতির অনেক বদল হয়েছে। কলকাতা ও পড়শি জেলাগুলিতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু অন্য জেলার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়িয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই সল্টলেক ও উল্টোডাঙা শুনশান। জেলাগুলিতেও একই ছবি। রাস্তা ফাঁকা। গুটিকতক মানুষের দেখা মিললেও তাঁদের আটকাচ্ছে পুলিশ। লকডাউন অমান্য করে যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককেই কেস দেওয়া হচ্ছে। নথিপত্র যাঁরা দেখাতে পারছেন তাঁদেরকে অবশ্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির সেই ছবিটাই এখন ধরা পড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকাতেও। কলকাতায় কিছুদিন আগেও কনটেইনমেন্ট জোন ছিল ১৭টি। এখন সেটা নেমে এসেছে ১১। অন্যদিকে গোটা রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৫৭৯।
পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের বিভিন্ন মোড়ে থাকা সিসিটিভির মাধ্যমে বেরিয়ে পড়া গাড়িগুলির ওপর নজরদারি চালিয়ে পাকড়াও করছেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টরা। সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কলকাতা–সহ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বৃষ্টি হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ এই দিনটিতে অলসভাবে কাটাচ্ছেন। বুধবার অনেকেই ভাল–মন্দ বাজার করে রেখেছেন। আজ তা রান্না হচ্ছে। সুতরাং বৃষ্টি–লকডাউনের কোলাজে গা ভাসিয়েছেন শহর–শহরতলি–গ্রামবাংলার মানুষজন।