করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বন্ধ দৈনিক লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে রেলকর্মীদের জন্য চলছিল কিছু স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের অনুরোধে পুলিশ, স্বাস্থ্য, ব্যাঙ্ক, বীমা, সংবাদমাধ্যম সহ বেশ কিছু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেয়। ফলে দিনদিন ভিড় বাড়ছিল শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনের স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেনগুলিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়াতে হয় রেলকে। কিন্তু ওই ট্রেনে উঠতে গেলে বিশেষ অনুমতিপত্র সহ মাসিক টিকিট কাটতে হচ্ছিল যাত্রীদের। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছিল। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল মাঝেমধ্যেই। শিয়ালদা দক্ষিণ, বনগাঁ ও হাওড়া শাখায় রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। এমনকি শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ভাঙচুর করা হয়েছে বহু স্টেশনে। এই পরিস্থিতিতে রেল লোকাল ট্রেন চালুর অনুমতি চেয়ে বারবার চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু নবান্ন থেকে কোনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। ফলে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনই চালাতে হচ্ছে রেলকে।
কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আচমকা লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে রেল। শিয়ালদা মেইন শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে দৈনিক টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে রেল কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। কিসের ভিত্তিতে লোকাল ট্রেনের দৈনিক টিকিট বিক্রি হচ্ছে সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে খুশি নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের কথায়, অফিস চালু হয়ে গিয়েছে, শপিং মল, দোকান, বার, রেস্তোরাঁ সব চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে কর্মস্থলে যাওয়া একটা বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। অনেকেই বিশেষ অনুমতিপত্র জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই বিনা টিকিটেই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠছিলেন অনেকে। এবার টিকিট বিক্রি শুরু হলে তাঁদের আর বিনা টিকিটে যাত্রা করতে হবে না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক কর্মী জানালেন, হাসপাতাল বা জরুরি কাজে যাওয়ার জন্য টিকিট বিক্রির নির্দেশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে। তবে সকলকেই টিকিট দেওয়া হচ্ছে। যদিও রেলের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
You must be logged in to post a comment.