লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালানো হবে এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের উপর ছেড়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার করোনাবিধি কিছুটা হলেও শিথিল করেছে। নির্দিষ্ট সময় মেনে খুলছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বাজারহাট। এমনকি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অফিসও চালু হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে। এদিকে বাস চলাচলের অনুমতি দিলেও লোকাল ট্রেন ও মেট্রোয় অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। যদিও সীমিত সংখ্যক স্টাফ স্পেশাল লোকাল ও মেট্রো চলছে সেগুলিতে চড়ার অনুমতি সকলের নেই। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। কার্যত বিনা টিকিটে ও জোর করেই স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেনে উঠে পড়ছেন মানুষ। যারফলে ভিড় বাড়ছে আর শিকেয় উঠছে সামাজিক দুরত্ববিধি। এই পরিস্থিতিতে কবে থেকে লোকাল ট্রেন চালু হবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই রেলের কাছে।
রাজ্য সরকারের জারি করা করোনা বিধিনিষেধের জেরে গত মে মাস থেকে বন্ধ কলকাতা ও শহরতলির লোকাল লোকাল ট্রেন। যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখনও ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে লাগু রয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। তারপরে শহরতলির লোকাল ট্রেন চলবে কি না তা নিয়ে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই নিজেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের তরফে জানানো হল, রাজ্য সরকার বললেই লোকাল ট্রেন চালানো হবে।
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিকরা প্রায় একসুরেই বললেন রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিলেই আমরা লোকাল ট্রেন চালাবো। তবে তাঁরা এও জানিয়েছেন, যেভাবে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে ভিড় বাড়ছে আর সাধারণ মানুষের জোর করে ট্রেনে ওঠার প্রবণতা বাড়ছে সেটা খুবই চিন্তার বিষয়। একশো শতাংশ ট্রেন চালু না হলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেল বারবার চিঠি দিয়ে রাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। রেল বোঝাতে চাইছে যে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের জেরেই বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এতে রেলের কোনও দায় নেই।