৭২ ঘন্টা কেটে গেলেও বিক্ষোভ এখনো চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি জনজাতি। যার জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেল এখনও পর্যন্ত ১৮টি দুরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কয়েকটি ট্রেনকে গন্তব্যস্থলের আগেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের বাতিল করা হয়েছে যে ট্রেনগুলি:
• টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস (আপ এবং ডাউন)
• হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (আপ এবং ডাউন)
• ধানবাদ-টাটানগর এক্সপ্রেস (আপ এবং ডাউন)
• টাটানগর-দানাপুর এক্সপ্রেস (আপ এবং ডাউন)
• সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (আপ এবং ডাউন)
• রাঁচি-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
• খড়গপুর-ঝাড়গ্রাম মেমু স্পেশাল (আপ এবং ডাউন)
• খড়গপুর-টাটানগর মেমু স্পেশাল (আপ এবং ডাউন)
• ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ এক্সপ্রেস
• সাঁতরাগাছি-ঝাড়গ্রাম স্পেশাল ট্রেনটি গন্তব্যস্থলের বদলে খড়গপুর প্রযন্ত যাবে।
• হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস আদ্রা পর্যন্ত যাবে।
• খড়গপুর-হাতিয়া এক্সপ্রেস আদ্রা পর্যন্ত যাবে এবং ফের ট্রেনটিকে খড়গপুরে ফিরিয়ে আনা হবে।
• আপ এবং ডাউন লাইনের খড়গপুর-রাঁচি এক্সপ্রেস আদ্রা পর্যন্ত যাবে।
প্রসঙ্গত,তপশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন সামিল হয়েছিল কুড়মি মাহাতো সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার ও বুধবার একাধিক দাবিতে রেল অবরোধে সামিল হয়েছিল কুড়মি সম্প্রদায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় প্রচুর রেল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যতদিন না পর্যন্ত তাদের দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষণ রেললাইন এবং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের সদস্যরা।