জেলা

রেল রেকো–তে স্তব্ধ পরিষেবা

রেললাইনে আন্ডারপাস তৈরির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে রেল রোকো আন্দোলনে শামিল হল জামবনি ব্লকের গিধনী এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল ৬টা থেকে গিধনী রেলস্টেশনে কয়েকশো বাসিন্দা একত্রিত হয়ে দূরপাল্লার ট্রেন আটকে দিয়েছে। রেললাইনে উপর জমায়েত হয়ে রয়েছেন তাঁরা। রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে সকাল থেকে। জানা গিয়েছে, গিধনী রেলস্টেশনের গিধনী পূর্ব কেবিনের দিকে রেললাইন পারাপারের যে রাস্তা রয়েছে তার উপর ৮ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে বন্ধ করে ফেলছে রেল দপ্তর।

সমস্যায় পড়তে হয় গিধনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাঁচিল না দিয়ে আন্ডারপাস তৈরীর দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন রেল অবরোধ করে গিধনীর বাসিন্দারা। গিধনী পূর্ব কেবিনে আন্ডারপাস তৈরির পাশাপাশি মোট ৭ দফা দাবি নিয়ে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেছে গিধনীর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবিগুলো হলো, সাঁতরাগাছি ঝাড়গ্রাম লোকালটি গিধনী পর্যন্ত চালাতে হবে, লোকাল ট্রেনের পরিষেবা পুনরায় চালু করতে হবে, স্টিল ও ইস্পাত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দিতে হবে, লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না এবং রেলের বেসরকারিকরণ করা যাবে না এই সকল দাবিকে সামনে রেখে রেল রোকো আন্দোলন শুরু করেছে গিধনীর বাসিন্দারা।

গিধনীর বাসিন্দা গোপাল সরেন বলেন, গিধনী পূর্ব কেবিনে দিকের রেললাইন পারাপারের রাস্তায় ৮ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে এই এলাকার বাসিন্দাদের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তার জন্য আন্ডারপাস তৈরি করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ না আসে আন্ডারপাস তৈরীর কথা বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই অবরোধ চালিয়ে যাব।

গিধনীর স্টেশন ম্যানেজার বিএন মুর্মু বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দূরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়েছে । যাত্রীদের প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ট্রেন ছেড়ে দেয়ার জন্য বহুবার অনুরোধ জানিয়েছি তাঁরা কোনো কথাই শুনছে না। এখনো বহু দূর পাল্লার ট্রেন রয়েছে।