ভিআইপি কাঁটা সরালেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং। রাতভর ট্রেন সফর করলেন আমজনতার সঙ্গেই। খুদে সহযাত্রীর সঙ্গে মুঠোবদ্ধ হাত মেলালেন। তরুণ যাত্রীর চাপড়ে দিলেন পিঠ। সহযাত্রীদের কাছে জানতে চাইলেন, সব ঠিকঠাক আছে তো? ট্রেনে কোথাও নোংরা দেখতে পাচ্ছেন? খোদ রেলমন্ত্রীকে হাতের সামনে পেয়ে বেশ কিছু রুটে নতুন ট্রেন চালুরও দাবি করলেন যাত্রীরা। সমস্ত দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রাতে ভুবনেশ্বর থেকে হীরাখণ্ড এক্সপ্রেসে চেপে বসেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ট্রেনে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন অফিসারও।
শুক্রবার সকালে হীরাখণ্ড এক্সপ্রেস থামে রায়গড়ে। নামেন রেলমন্ত্রী। রেল বোর্ড সূত্রে জানানো হয়েছে, গোটা যাত্রাপথেই প্রায় প্রত্যেক যাত্রীর কাছে পৌঁছে যান মন্ত্রী। পরিষেবা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সহযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেইসঙ্গে দেশে ট্রেন পরিষেবা ও তার উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠিক কী ভাবছেন, সহযাত্রীদের কাছে তুলে ধরেন সেটিও।
এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলার সময় সটান তাঁর সামনের সিটে বসে পড়েন। পা মুড়ে বসে আড্ডার মেজাজে কথা বলতে থাকেন। দৃশ্যতই আপ্লুত তরুণী নিজ মুখে সেলফি তোলার কথা বলতে পারছিলেন না। অন বোর্ড রেলমন্ত্রীর সঙ্গী রেল আধিকারিক ওই তরুণীকে মোবাইল দিতে বলেন। মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। দু’জনের একসঙ্গে ছবিও ওঠে।
মায়ের সঙ্গে সাইড আপার বার্থে বসে থাকা বছর চারেকের খুদে সহযাত্রীর সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী। মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। আড়ষ্ট হয়ে থাকা খুদে সহযাত্রী একটিও জবাব দেয়নি। হাসতে হাসতে তার দিকে মুঠোবদ্ধ হাত বাড়িয়ে দেন মন্ত্রী। এবার অবশ্য হাসি ফোটে খুদের মুখে। হাত মেলায় সেও। কথা বলেন ট্রেনের টিটিই’দের সঙ্গেও। শেষ কোন রেলমন্ত্রী এভাবে আমজনতার সঙ্গে রাতভর ট্রেনে সফর করে তাঁদের ফিডব্যাক নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা মনে করতে পারছেন না রেলের আধিকারিকরাও।