আজ হাবরায় প্রচার শুরু করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার পরই শুক্রবার সকালে দলবল নিয়ে হাবরা পৌঁছন তিনি। কর্মী বৈঠকের আগেই তিনি হাবরার মাটিতে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন তিনিও উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান। বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারের শিকার হয়ে তাঁর পরিবারও চলে এসেছে এই দেশে।
হাবরার মতো উদ্বাস্তু ও মতুয়া অধ্যুষিত শহরে তাঁর টিকিট পাওয়াকে সৌভাগ্য বলে মনে করেন তিনি। আর খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই কেন্দ্র থেকে গত দুবারের বিধায়ক। হাবরার বিধায়ক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হলেও গত লোকসভা ভোটের ফলাফলে এই বিধানসভায় পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ফলাফলকে সামনে এনে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা এদিন কটাক্ষ করেন।
তাঁর দাবি, এই বিধানসভা থেকে পালাতে চেয়েছিলেন রাজ্যের চাল চোরের পান্ডা। দল তাঁকে আসন বদল করতে দেয়নি। তাই চাল চোরের পান্ডার বিচার হবে এই হাবরাতেই। এদিন বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, হাবরার মানুষ মাত্রই জানে তাঁদের মন্ত্রী কাদের নিয়ে হাবরায় রাজনীতি করেন। রাজ্যে বিজেপি সরকার আর হাবরায় বিজেপির বিধায়ক এই দুই এর মিশ্রনে প্রভুত উন্নয়ন হবে।
হাবরা পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। প্রার্থী হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম হাবরায় আগমন। এদিন হাবরার ঝড়ঝড়িয়া তলায় রং ও তুলি নিয়ে দেওয়াল লেখা শুরু করেন। আর তুলি হাতে নিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন বিজেপির এই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তিনি জানা, ১৯৮২ সালে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লেখার কাহিনি। হাবরার বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তিনি মাটি থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক ব্যক্তি।
