গুজরাট হাইকোর্টেও স্বস্তি মিলল না রাহুল গান্ধির। হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক মঙ্গলবার তাঁর সাজার উপর অন্তবর্তী স্বস্তির আর্জি মানতে অস্বীকার করেন। ৪ জুন তিনি মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানান। কংগ্রেস নেতার আইনজীবীরা বারে বারে আর্জি জানান, সাজার উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। বিচারপতি তা মানেননি। উল্লেখ্য, মোদি পদবিধারীদের মানহানির মামলায় সুরাতের নিম্ন আদালত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধিকে দু’ বছর জেলের সাজা দিয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি দায়রা আদালতে গিয়ে সাজার মেয়াদ কমানোর আর্জি জানিয়েছিলেন গত মাসে।
কারণ, নিম্ন আদালত দু’ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ায় তাঁর সাংসদপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দায়রা আদালত সেই আর্জি মানেনি। দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাহুল গুজরাট হাইকোর্টে মামলা করেন। গত সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছিল বিচারপতি মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রায় শোনাবেন। মঙ্গলবার তিনি জানান, রায় ৪ জুন ঘোষণা করবেন। ততদিন পর্যম্ত সাজা বহাল থাকবে। সাজার মেয়াদ কমানোর আর্জির পক্ষে অন্তবর্তী আদেশ জারির অনুরোধও ফিরিয়ে দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় রাহুল গান্ধি মন্তব্য করেছিলেন “সব মোদিরা কেন চোর হয়?” নীরব মোদি, ললিত মোদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই রাহুল এই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সুরাটের দায়রা আদালতে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে মামহানীর মামলা হয়। মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাহুল এই মন্তব্য করে সমস্ত ‘মোদি’ পদবীর মানুষদের অপমান করেছেন। এরপরই রায়দানের সময় সুরাটের আদালতে উপস্থিতও ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। সাজা ঘোষণার পরই রাহুলের আইনজীবী জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন। এরপরই বিচারক ৩০ দিনের জন্য ২ বছরের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেন। রাহুল গান্ধিকে এখন উচ্চ আদালতে আবেদন করতে হবে সাজা কমানোর জন্য।