২০২০ সালে দীর্ঘ লকডাউন। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিন জীবনযাত্রা। তার মধ্যেই ধেয়ে এল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রের কোভিড–নীতি নিয়ে। শুক্রবার তিনি গতবছরের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে তুঘলকি লকডাউন বলে আখ্যা দেন।
এই বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড রাজনীতির তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরে তুঘলকি লকডাউন জারি কর। দ্বিতীয় স্তরে ঘণ্টি বাজাও এবং তৃতীয় স্তরে প্রভুর গুণগান কর।’ গতবছর মাত্র কয়েক ঘণ্টা নোটিসে দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ঘরে ফিরতে সমস্যায় পড়েছিলেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। ওই ঘটনার কথাই উল্লেখ করে তুঘলকি লকডাউন খোঁচা দিলেন রাহুল। পরের খোঁচা লকডাউনের মাঝে থালা–বাটি বাজানোর আবেদন নিয়ে।
পরিযায়ী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা না করেই কেন্দ্র গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে দেশব্যপী যে লকডাউন জারি করেছিল, তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছিল বলে তিনি দাবি করেছিলেন। তিনি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লকডাউনের সিদ্ধান্ত ও করোনা যোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শনে জনতা কার্ফুর দিন থালা বাজানোর উপদেশের কটাক্ষ করেন। মহারাষ্ট্র–সহ একাধিক রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতি দেখা দিতেই বিদেশে রফতানি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর করোনাকালে সিবিএসই ও অন্যান্য পরীক্ষাগুলি বাতিলের আর্জি জানিয়েও টুইট করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২,১৭,৩৫৩। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ৪২ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ জন। তিনি টুইটে বলেছিলেন, ‘করোনায় নিয়ন্ত্রণ নেই, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও নেই, রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই, কিষাণ-মজদুরদের কথা শোনা হয় না। এমএসএমই সুরক্ষিত নয়, মধ্যবিত্ত মানুষও সন্তুষ্ট নয়। আম খাওয়া অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু আমজনতাকে তো ছেড়ে দিন।’