রাজস্থানের রাজনৈতিক নাটকের কী সমাপ্তি হতে চলেছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ সোমবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে শচীন পাইলটের সাক্ষাৎ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী শচীনের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখার জন্য একটি প্যানেলও তৈরি করা হবে বলে খবর। তাহলে অশোক গেহলট গোঁসা করলে রাহুল গান্ধী সামলাবেন কী করে? এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বাসভবনে এই বৈঠক হয়েছে। সূত্রটি জানাচ্ছে, ওই বৈঠকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন। পাইলট শিবির সূত্রে খবর, দু’জনের মধ্যে দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে ‘একইরকম মনের বৈঠক’ হিসেবে ব্যাখ্যা পাইলট শিবিরের। বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব শচীন পাইলট আর রাজস্থানের বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। সেখান থেকেই কোনও পথ বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মার্চ মাসে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছাড়ার সময়ে কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। এখন পরিস্থিতি কংগ্রেসের অত্যন্ত খারাপ থাকায় শচীনকে ধরে রাখতে চায় কংগ্রেস। গেহলট শিবির থেকে পৃথক হয়ে শচীনকে গুরুত্ব কংগ্রেস কিভাবে দেবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। শ্যাম–কুল কি করে কংগ্রেস হাইকমান্ড বজায় রাখে এখন সেটাই দেখার।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আজ দেখা হলেও, গত একমাসে বেশ কয়েকবার গোপনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শচীন পাইলট। তাই এই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। অবিলম্বে গোটা সমস্যার সমাধানসূত্রও বেরিয়ে আসবে আশা করা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে রাজস্থান বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ওই অধিবেশনে আস্থা ভোটের ডাক দিয়ে সরকার টিকিয়ে দিতেই শচীন–রাহুল সাক্ষাৎ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেস সরকার টেকানো যাচ্ছে না। তাই নিজেদের মধ্যে আকচা আকচি বন্ধ করে সরকার টিকিয়ে রাখতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।