উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। এবার হাথরাসের ঘটনাকে সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে হাথরাসে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকতেই এই সফর। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দু’সপ্তাহ আগে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ১৯ বছরের দলিত তরুণী। মঙ্গলবার দিল্লির এক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠেছে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ। গভীর রাতে তড়িঘড়ি কেন নির্যাতিতার দেহ সত্কার করা হল, সে প্রশ্নে জেরবার যোগী প্রশাসন। যোগী প্রশাসন হাথরাস থেকে ১৫০ কিমি পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম যাতে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে গ্রামে।
অন্যদিকে হাথরসের জেলাশাসক অবশ্য দাবি করেছেন, জেলার সমস্ত সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী গোটা এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এই অবস্থায় বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। বোঝাই যাচ্ছে, রাহুল–প্রিয়াঙ্কা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। এই ঘটনায় চারজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষিতা মেয়েটি তপশিলি জাতিভুক্ত, তবে অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই উচ্চবর্ণের। গত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ঘটে চলায়, দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি বলেন, ‘এই বর্বরোচিত কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। এই মুহূর্তে হাথরাসের এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। যারা এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাদের বিবেক দিয়ে পরিস্থিতির বিবেচনা করতে বলব।’ পাল্টা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি’র স্লোগান এখন বেটি বাঁচাও নয়। বরং তথ্য লুকোও, গদি বাঁচাও। উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। সেখানে মেয়েদের ওপর অত্যাচার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আর সরকারের অপদার্থতা সামনে আসছে।’