করোনার থাবা ছড়িয়েছে বেলুড় মঠেও। তা থেকে রেহাই পাননি সংসারত্যাগী সন্ন্যাসীরাও। তাই তাঁদের জন্য এবার বেলুড় মঠে তৈরি হতে চলেছে তিনতলা একটি কোয়ারেনটিন হাউস। করোনায় আক্রান্ত সন্ন্যাসী এবং বেলুড় মঠের অন্য কর্মচারীদের জন্য এই কোয়ারেনটিন হাউস তৈরি করা হচ্ছে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে খবর, প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেলুড় মঠের চত্বরের ভেতরেই তৈরি হচ্ছে এই কোয়ারেনটিন হাউস। প্রতি তলায় পাঁচটি করে ঘর থাকছে। এখানে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি হলেও যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাও রাখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বেলুড় মঠের ভেতরে ইলেকট্রনের তরঙ্গ প্রবাহিত করা হবে। ফলে করোনাভাইরাস বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেলুড় মঠের কোভিড আক্রান্ত বাসিন্দাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। এমনকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপযোগী খাদ্য তালিকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত মঠের মোট ৫৪ জন সন্ন্যাসী এবং ১৫ জন কর্মচারীর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। করোনা পজিটিভ হলে একমাস কোয়ারেনটিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রামকৃষ্ণ মিশনের তিনজন সন্ন্যাসীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। তবে এঁদের মধ্যে একজনও বেলুড় মঠের বাসিন্দা নন। উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের শেষ পর্যন্ত বেলুড় মঠে একজনও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। কিন্তু তারপর থেকেই দ্রুত সংক্রমণ মঠের ভেতরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
