বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিলাম। শুক্রবার ঢাকায় মুজিব শতবর্ষে অনুষ্ঠানে এই দাবিই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্মৃতিচারণায় তিনি বলেন, ‘জীবনের শুরুর দিকে আন্দোলনগুলির অন্যতম ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে সামিল হওয়া।’ শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূ্র্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এমনকী তাঁর দাবি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধই ছিল তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রথম প্রতিবাদ–আন্দোলন।
বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্ক তাঁর আজকের নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তাঁর অংশগ্রহণও ছিল বলে দাবি করলেন মোদী। তাঁর কথায়, আমার জীবনের শুরুর দিকে আন্দোলনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে সামিল হওয়া। তখন আমার বয়স ছিল ২২ বছর। আমি ও আমার সঙ্গীরা সত্যাগ্রহ করেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে সামিল হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জেলেও গিয়েছিলাম।
এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য যেসব জওয়ানরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের অবদান ভোলার নয়। যেসব ভারতীয়রা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন তাদের অবদানও ভোলার নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে সমর্থন ছিল। ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা সর্বজনবিদিত। অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, মুক্তি সংগ্রামে জীবনের আহুতি দেওয়ার জন্য লড়ছি না, ইতিহাসে একটা নতুন দিশা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রণব দা বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ধৈর্য্য, প্রতিজ্ঞা ও আত্মসংযমের প্রতীক। ভারত–বাংলাদেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।’