আন্তর্জাতিক

এবার কলম্বাসের মাথা কাটল বিক্ষোভকারীরা

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে জ্বলছে আমেরিকা। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে মানুষ। এই আবহে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মূর্তি ধ্বংস ও ভাঙা হয়। কয়েকদিন আগে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির উপরও রোষ গিয়ে পড়ে। আমেরিকার কনফেডারেট জেনারেলদের মূর্তিও ভাঙা হয় বিভিন্ন জায়গায়। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে এবার আমেরিকার আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাসকেও ছাড়ছে না বিক্ষোভকারীরা। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে কলম্বাসের একটি মূর্তির মাথা ভেঙে দিয়েছে বিক্ষোবকারীরা। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে কলম্বাসের একটি ভাস্কর্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমনকী মিনেসোটায় ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে ফেলে দেওয়া হয় কলম্বাসের আরও একটি মূর্তি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কলম্বাস হলেন গণহত্যার প্রতীক। তিনি আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের নির্বিচারে হত্যা করেছিলেন। আমেরিকার এক শ্রেণীর মানুষ মনে করেন, স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমেরিকার আবিষ্কার করেছিলেন কলম্বাস। তাঁকে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের হোতা এবং আদিবাসীদের গণহত্যার অগ্রদূত বলে মনে করেন আমেরিকার অনেকেই। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকায় যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তাতে নতুন করে কলম্বাস বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রতিফলন মূর্তি ভাঙার ঘটনা। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে কালি ছিটিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। গ্রাফিটি আঁকা হয়েছিল গান্ধীমূর্তিতে।
উল্লেখ্য, ২৫ মে মিনেসোটার মিনেপলিসে একটি দোকানের বাইরে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্লয়েডকে। তাঁকে দমবন্ধ করে মারেন পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। যিনি প্রায় ৯ মিনিট ধরে ফ্লয়েডের গলা নিজের হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছিলেন। এমনকী ফ্লয়েড বারবার বলতে থাকেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই আফ্রিকান–অ্যামেরিকান ও কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য সুবিচার চেয়ে আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বোস্টনের মেয়র মার্টি ওয়ালস জানান, বিক্ষোভের এমন ধরণ নিন্দনীয়। দোষীদের শাস্তি পেতে হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা মূ্তিটি আপাতত পার্ক থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। এর আগেও একাধিকবার এই পার্কে থাকা কলম্বাসের মূ্র্তিটি আক্রান্ত হয়েছিল।