গ্রীষ্মকাল মানেই অস্বস্তিকর গরম। এ সময় অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া আমাদের ঘর্মাক্ত করে তোলে। আমাদের শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের হয়, যা খুবই বিরক্তিকর। ঘামের দুর্গন্ধ কাছের মানুষকেও দূরে ঠেলে দেয়। এ জন্য আমাদের সচেতন থাকা জরুরি।
আপনি যদি ঘাম ও দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই পদক্ষেপগুলো-
জল পান করুন
গরমকালে প্রচুর জল পান করা দরকার। এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং এভাবে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া রোধ করে। সব সময় সঙ্গে জলের বোতল রাখুন এবং প্রতিদিন অন্তত তিন-চার লিটার জল পান করুন।
সীমিত ক্যাফেইন গ্রহণ
যখন আপনি কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছেন না বা ঘুমঘুম ভাব হচ্ছে, তখন ক্যাফেইন গ্রহণ খুব উপকারী। কিন্তু ঘামের ক্ষেত্রে এটি ভালো নয়। ক্যাফেইন হার্ট রেট বাড়ায় এবং ঘামের গ্রন্থিগুলো অতি-সক্রিয় করে। তাই আপনি যদি কম ঘামতে চান, ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত করুন।
সুতি পোশাক পরুন
গরমকালে ত্বকের স্বস্তির জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনথেটিক কাপড় ত্বকের জন্য স্বচ্ছন্দ নয়, ঘাম বেশি শুষে নেয়; যা আপনাকে শুধু অস্বস্তিতেই ফেলে না, বগলকে আরো ঘর্মাক্ত করে। তাই এ সময় সুতি কাপড় এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। তাহলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন।
শেভ করুন
গরমে আপনার বগলকে কেশমুক্ত রাখুন। বগল কেশমুক্ত থাকলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন। ঘাম থেকে মুক্তির জন্য এটা দারুণ কার্যকর কৌশল। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এটা উত্তম।
স্নানের পর পোশাক পরতে সময় নিন
স্নানের সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। পোশাক পরার ক্ষেত্রেও নয়। আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানকার আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে ও গরম, তাহলে তা আরো গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ভালোভাবে শীতল হওয়ার আগে যদি পোশাক পরেন, তাহলে আপনি অতিরিক্ত ঘর্মাক্ত হবেন। তাই স্নানের পর পোশাক পরার আগে একটু অপেক্ষা করুন। শরীরকে সম্পূর্ণভাবে শীতল হতে দিন। এরপর পোশাক পরুন।
খাদ্যাভ্যাস
জানেন কি, খাবারের কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হয়। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, তবে দেখবেন, কিছু খাবার খাওয়ার পর ঘাম হয়। তাই এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উষ্ণ, মসলাযুক্ত খাবার এবং যেগুলোতে উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকে সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখুন। এসব খাবার শরীরকে উষ্ণ করে এবং ঘর্মাক্ত করে। তাই গরমকালে এসব খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।