রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবারই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারির পর ইতিমধ্যেই বনমন্ত্রীর ১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক।
এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই বেশকিছু নথি হাতে নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেন। তবে ইডি দফতরে খুব কম সময়ই ছিলেন প্রিয়দর্শিনী। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা জ্যোতিপ্রিয়-কন্যাকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়েই গাড়িতে উঠে যান। ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। দু’টি কোম্পানি বাঁকুড়ার ঠিকানায় রেজিস্টার্ড বলেই জানা গিয়েছে।
শুক্রবারই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত ইডিকে জানিয়েছিলেন, ওই সংস্থা দুটি থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে ২০ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। এরপরই দুটি কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ করে ইডি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গতি বাড়াতে ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ২০টিরও বেশি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এই মোবাইলগুলি যেমন বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের রয়েছে, তেমনই বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠদেরও মোবাইলও রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মোবাইল ডি-কোড করে তথ্যের সন্ধান শুরু করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই মোবাইলগুলির মধ্যেই রেশন দুর্নীতির সমস্ত তথ্য লুকিয়ে রয়েছে বলেই দাবি ইডির। জেলে বাকিবুর রহমানকে জেরা করার অনুমতি চাওয়া হলে ইডির সেই আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত।