According to government order private bus and mini bus will run from Monday. But private bus owner association takes decision that they don't run bus in previous fare.
রাজ্য

পথে নামতে নারাজ বেসরকারি বাস–মিনিবাস

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বাসের যাত্রী সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার থেকে পথে নামছে না বেসরকারি বাস, মিনিবাস। পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দিল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। রবিবারের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিল দু’টি বেসরকারি বাস সংগঠন। কত টাকা ভাড়া বাড়ানো হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বাস মালিকরা। বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ছেড়ে দেন বাস মালিকরা।
লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যাবে বলে আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাস্তায় চলছে সরকারি বাস। প্রথমে মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হলেও সম্প্রতি সেই সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বাসে যতগুলি আসন রয়েছে, ততজন যাত্রী বাসে তোলা যাবে। তবে কোনও যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। এই বিষয়ে মিনিবাস ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, ‘‌আমরা অনুরোধ করছি মুখ্যমন্ত্রী কাছে, তিনিই যেন বাসভাড়া ঠিক করে দেন। কারণ আমরাও অসহায়। পুরো বাস যাত্রী বসিয়ে চালালে সাত টাকা, আট টাকা ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব হয়ে যায়। আর এই ভাড়ায় ওত কম যাত্রী নিয়ে তো গাড়ি চালানো অসম্ভব।’‌
জানা গিয়েছে, এই দাবিতে তারা আগামী ২ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে। তার পরে যদি সরকারের পক্ষ থেকে সদর্থক সাড়া পাওয়া যায় তবেই রাস্তায় নামবে বেসরকারি বাস। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বাস মালিকরা। বৈঠকে আরও স্থির হয়েছে—যাত্রীদের সুরক্ষার দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে।
বাস কর্মীদের গ্লাভস, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার সরকারকে দিতে হবে, বাস কর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে এবং সোমবার থেকে নামছে না বেসরকারি বাস, মিনিবাস।
আগামী ৮ জুন থেকে সরকারি সংস্থায় ৭০ শতাংশ কর্মী এবং বেসরকারি সংস্থায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করা যাবে। তাই বেসরকারি বাস রাস্তায় না নামলে সমস্যায় পড়তে হবে একটা বিশাল অংশের মানুষকে। মঙ্গলবার ফের কসবায় পরিবহণ দপ্তরের দাবিদাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি দেবেন বাসমালিকরা।