রাজ্য

করোনায় প্রথম বলি বাসচালক

নবান্ন থেকে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে করোনা কমে যেতে পারে। কিন্তু তার কোনও লক্ষণই দেখা গেল না। বরং রাজ্যে এবার প্রথম করোনার বলি হলেন বাসচালক। যা এখন সবচেয়ে বড় খবর। কলকাতার বেসরকারি রুটের বাসচালকদের মধ্যে করোনায় প্রথম মৃত্যু হল শ্যামবাজারের বাসিন্দা অবতার সিংয়ের। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি বাস চালাতেন মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন বলে। তিনিও একপ্রকার করোনা যোদ্ধাই বলা যায়। ৩২ নম্বর বেসরকারি রুটের বাস চালক ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংগঠনের আরও ৫ জন বাস চালক করোনা আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। একাধিক কনডাক্টরও আক্রান্ত। শরীরে উপসর্গ রয়েছে আরও এমন ২৫ জন রয়েছেন। যাঁদের রিপোর্ট আসা বা পরীক্ষা করা বাকি। এই ঘটনায় বাস মালিক সংগঠন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। কারণ ১৫ হাজার টাকার প্যাকেজ দেওয়ার নাম করে বাস নামাতে জোর করেছিল সরকার। আজ আর তাদের দেখা নেই। বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে নিজেদের সিদ্ধান্তেই। ফলে বাসে মানুষজন উঠছে কম।
এদিকে রাস্তায় ভাড়া সংক্রান্ত কারণে এমনিতেই বাসের দেখা মেলা ভার। করোনার এই আতঙ্কে আরও বেশ কিছু বাস রাস্তায় নামতে চাইছে না। সারাদিন বাস চালিয়ে তেলের খরচ ওঠে না বলে আগে থেকেই দাবি করছিলেন বাসমালিকরা। তার ওপর পদে পদে করোনার আশঙ্কা। ঢাল তরোয়াল বিহীন নিধিরাম সর্দার হয়ে কাজ করছেন চালক ও কনডাক্টররা। করোনায় মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। সুতরাং কিসের ওপর ভরসা করে বাস পথে নামবে?‌ উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে বাস চালিয়ে লাভ হচ্ছে না বলে মালিকরা একটি মাস্ক ছাড়া চালক, কনডাক্টরদের আর কিছু দিতে চাইছেন না। স্যানিটাইজারের বোতলও দিচ্ছে না। আবার রাস্তায় বাস হাতেগোনা, ফলে যত আসন তত যাত্রীর কনসেপ্ট কাজ করছে না। অফিস ফেরত যাত্রীরা বাড়ি ফেরার সময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বাসে উঠছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।