প্যারোলে ছাড়া হল ৩ হাজার বন্দিকে। রাজ্যের মোট ৬০টি জেল থেকে ৩ মাসের জন্য ওই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। করোনা আতঙ্কের সঙ্গে দোসর লকডাউন। সংক্রমণের আতঙ্কে উদ্বেগে তাঁরা। কয়েকদিন আগেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গিয়েছে দমদম সংশোধনাগারে। করোনা আতঙ্কে আদালতের কাজ থমকে। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বন্দিদের মধ্যে অসন্তোষ। আর তার জেরেই পুলিশ এবং বন্দিদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় দমদম সংশোধনাগারে।
প্যারোলে মুক্তি পেল ২,০৫৯ জন বিচারাধীন বন্দি এবং ১০১৭ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিন মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয় তাঁদের। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ছাড়া মিলেছে সবথেকে বেশি। কমপক্ষে ৩০০ জনকে ছাড়া হয়। দমদম সংশোধনাগার থেকে ১৫০ এবং বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে ১০০ জন বন্দিকে ছাড়া হয়েছে।
রাজ্যের জেলগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করেই প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হল মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখানেই জেল কর্তৃপক্ষ ক্ষান্ত থাকেননি। লকডাউনের জেরে গাড়ি বন্ধ থাকায় তাদের গাড়ি করে প্রথমে সংশ্লিষ্ট থানায়, সেখান থেকে সোজা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।