Prime Minister is highly criticised by oppositions.
রাজ্য

প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করল বিরোধীরা

রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালাতে দেশবাসীকে করা প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সমালোচনার ঝড় তুলল বিরোধীরা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‌যখন ওষুধ, চিকিৎসার কথা বলা উচিত তখন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক খেলা খেলছেন। হাততালি বাজিয়ে, মোমবাতি জ্বালিয়ে যদি করোনা মোকাবিলা করা যেত তাহলে ওষুধ, চিকিৎসার কী দরকার?‌ ছেড়ে কথা বলেননি রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কথা নিশ্চয়ই মানা হবে। কিন্তু মোমবাতি জ্বালালে কি করোনা পালাবে?‌
এরপরই আসরে নামেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আজ আমরা দ্বিতীয় আর্থিক সহায়ক পরিকল্পনা বা এফএপি–২ শুনতে চেয়েছিলাম। যা দরিদ্রদের সহায়ক প্যাকেজ হবে। যাঁদের গত ২৫ মার্চ নির্মলা সীতারামণ অবহেলা করেছিলেন তাঁদেরকে তালিকাভুক্ত করা হবে। কর্মরত প্রতিটি পুরুষ, নারী থেকে শুরু করে দিনমজুর সবাই আপনার কাছে অর্থনীতির পতন রোখার কথা শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হতাশ হলেন সবাই।
প্রধানমন্ত্রীকে শো–ম্যান বলে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তাঁর কথায়, ‘‌মানুষের কষ্ট লাঘব, অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করার কিছুই নেই। লকডাউনের পর কীভাবে সব কিছু ঠিক হবে তার কোনও আগাম পরিকল্পনা নেই। শুধু একটা ফিল–গুড মুহূর্ত বললেন ভারতের ফোটো–অপ প্রধানমন্ত্রী’‌।
শীর্ষ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বাল বলেন, ভাইরাস মোকাবিলা, গরীবদের কাছে খাবার,প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছনো, পরিযায়ী কর্মহীন শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্য, পরীক্ষার কিট সরবরাহ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সুরক্ষা নিয়ে একটা বাক্যও খরচ করেননি মোদী।